সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি: সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি লাগে?
সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি |
সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি হলো খুবই সহজ একটি পদ্ধতি, আপনার বিভিন্ন প্রয়োজনে লোন নিতে পারবেন। আমাদের জীবন চালানোর সময় কখনো কখনো লোন নেওয়ার প্রয়জন হয়ে পড়ে। তখন আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ি পদ্ধতিতে লোন নিতে পারেন।
আজকের এই পোস্ট এর যে বিষয় গুলো আলোচনা করা হবে, সেগুলো হলো-
- সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি লাগে?
- সোনালী ব্যাংক কি সরকারী?
- সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট
- সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক সিসি লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক কার লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক গৃহ লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধা লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর পদ্ধতি
সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি
আপনি কি সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাইছেন?, আপনার কি লোন এর প্রয়োজন?, তাহলে আপনি ঠিক পোস্ট পড়ছেন। আমাদের জিবনে চলার পথে অনেক বাধা-বিপত্তি আসে। এই সময়ে আমাদের লোনের প্রয়জন হয়। ব্যাবসা বড় করার জন্য, বাড়ি তৈরি করার জন্য, আপনার পড়া-শোনার খরচ ও বিভিন্ন কারনে লোনের প্রয়োজন হয়। আজকে আপনাদের সোনালি ব্যাংক লোন পদ্ধতি এর সকল বিষয় গুলো বিস্তারিত ভাবে জানাবো।
সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি লাগে?
সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি লাগে |
সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে, আপকে তাদের লোনের পদ্ধতি গুলোর উপর নির্দষ্ট কিছু কাজগ লাগে। সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি লাগে, তা নিম্নে ধারণা দেওয়া হলো-
- আপনার বয়স ১৮ বছর হতে বেশি হওয়া লাগবে এবং ৬০ বছর থেকে কম হওয়া লাগবে।
- আপনাকে বাংলাদেশি হতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) প্রয়োজন হবে।
- আপনি যে পদ্ধতিতে লোন নিবেন, সেই বিষয় এর উপর নির্দিষ্ট কিছু ডুকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
সোনালী ব্যাংক কি সরকারী?
সোনালী ব্যাংক কি সরকারী |
সোনালী ব্যাংক হলো সরকারী ব্যাংক। আমাদের দেশের সকল সরকারী কাজের জন্য সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিতে হয়। এটি আমাদের দেশের বড় রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সোনালী ব্যাংক আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সোমালী ব্যাংকের মূলধন হলো ৬০০০ কোটি টাকা এবং ৪১৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত।
সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট
সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট |
সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট এ আমরা সকল বিষয় এর উপর লোন গুলো দেখতে পাই। সোনালী ব্যাংকের লোন পদ্ধতি গুলো হলো-
- সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক সিসি লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক কার লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক গৃহ লোন পদ্ধতি
- সোনালী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধা লোন পদ্ধতি
সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন পদ্ধতি
সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন পদ্ধতি |
সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন পদ্ধতি হলো আপনার ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য যে লোন দিয়ে থাকে। আপনি যদি একজন ব্যবসায়ি হন তাহলে সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
আমাদের ব্যবসা করার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। সেই পরিমানে টাকা না থাকলে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিতে পারেন। এই লোনটি নেওয়ার জন্য
ব্যবসায়ী লোন কি?
ব্যবসায়ী লোন হলো আপনার ব্যবসার মান উন্নয়নের জন্য যে লোন ব্যাংক থেকে পাওয়া যায়। মূল কথা হলো, ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য যে লোন দেওয়া হয় তাকে ব্যবসায়ী লোন বলে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ব্যাংক ব্যবসায়ী লোন দিয়ে থাকে। আপনারা চাইলে সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিতে পারেন।
সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
যে কোনো ব্যাংক থেকে, যে কোনো লোন নিতে হলে আপনার কাছে কিছু প্রয়োজনীয় কগজ পত্র প্রয়োজন হয়। সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো-
- সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোনের আবেদন ফর্ম ভালো করে পূরণ করতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড)
- সোনালি ব্যাংকে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি চলতি একাউন্ট করতে হবে।
- আপনার ঔষধ এর ব্যবসা হলে ড্রাগ লাইসেন্স এর প্রয়জন হবে।
- আপনার খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হলে বিএসটিআই সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
- আপনার ডিজেল ও এসিড ব্যবসা হলে ডিসির অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
- এছাড়া ব্যাংক আপনার থেকে আরো কিছু ডুকুমেন্ট চাইতে পারে।
সোনালী ব্যাংক সিসি লোন পদ্ধতি
সোনালী ব্যাংক সিসি লোন পদ্ধতি |
সোনালী ব্যাংক সিসি লোন পদ্ধতি হলো আপনার ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে বছর কিস্তিতে যে লোন দিয়ে থাকে। ব্যবসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়, সেই পরিমানে টাকা আপনার কাছে না থাকলে সোনালী ব্যাংক থেকে সিসি লোন নিতে পারবেন। আমাদের দেশের প্রায় সকল ব্যবসায়িদের সিসি লোন আছে। ব্যবসায় সিসি লোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সিসি লোন হলো বছর বছর লোনের টাকা দিয়ে, আবার সেই লোনের টাকা তোলা যায়। ব্যবসায়িদের জন্য এই লোনের অত্যান্ত প্রয়োজন হয়। সিসি লোনটি আপনাকে প্রতি বছরে সুদ সহ ব্যাংকো টাকা দিয়ে দিতে হবে। আাবার তার পর দিন সেই লোনের টাকা তুলতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক থেকে সিসি লোন নিতে আপনার ব্যবসার কিছু প্রয়োজনীয় কগজপত্র ব্যাংকে দিতে হবে। সোনালী ব্যাংক সিসি লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো-
সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন পদ্ধতি হলো আপনার বেতন এর উপর নির্ভর করে ব্যাংক যে লোন দিয়ে থাকে। আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন, তাহলে ব্যাংক থেকে আপনি আপনার বেতন কত তার উপর নির্ভর করে ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট পরিমানে টাকা লোন দিয়ে থাকে। আমাদের দেশে সকল ব্যাংক চাকরিজীবীদের জন্য স্যালারি লোন দিয়ে থাকে। চাকরিজীবীদের স্যালারি লোন খুবই প্রয়োজন হয়।
স্যালারি লোন হলো চাকরিজীবী দের জন্য লোন। এই লোনটি চাকরিজীবীদের জন্য অশির্বাদ শরুপ। এই লোনটি নিয়ে চাকরিজীবীরা কোনো কাজ করতে পারে এবং তারপর বেতন থেকে সেই লোন পরিশোধ করতে হয়।
আপনি যদি সোনালী ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন নিবেন ভেবছেন, তাহলে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কগজ পত্র প্রয়োজন হবে। সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো-
সোনালী ব্যাংক কার লোন পদ্ধতি হলো আপনাকে ব্যাংক কার কিনে দিবে এবং সেই টাকা আপনাকে কিস্তির মাধ্যমে সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে। আপনি গাড়ি কিনবেন, কিন্তুু আপনার কাছে টাকা কম আছে, তাহলে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে কার লোন নিতে পারেন। কার লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে মূল্যবান কোনো কিছু ব্যাংকে দিয়ে রাখতে হবে। আপনার লোন এর টাকা সুদ সহ ব্যাংকে পরিশোধ করে আপনার দেওয়া মূল্যবান জিনিশ টি নিয়ে যেতে হবে।
কার লোন হলো আপনার কার ক্রয় করার জন্য ব্যাংক যে লোন দিয়ে থাকে। আপনার কার কেনার জন্য ব্যাংক এই সময়ে বড় একটা সাহায্য করে থাকে। এই লোন এর টাকা দিয়ে আপনার পছন্দের কার টি ক্রয় করতে পারবেন। আপনি যদি এখন কার কেনার কথা ভাবেন তাহলে, আপনি কার লোন নিতে পারেন।
আপনি যদি সোনালী ব্যাংক থেকে কার লোন নিতে চান তাহলে, আপনি আপনার কিছু সম্পদ ব্যাংকে রেখে কার লোন নিতে পারবেন। সোনালী ব্যাংক কার লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো-
সোনালী ব্যাংক গৃহ লোন পদ্ধতি হলো ব্যাংক থেকে বাড়ি তৈরি বা কেনার জন্য যে লোন দিয়ে থাকে। আমাদের সকলের স্বপ্ন হলো সুন্দর একটি বাড়ি তৈরি করা। কিন্তু অনেক টাকার জন্য, সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না। এই সকল মানুষদের জন্য সোনালী ব্যাংল হোম লোন বা গৃহ লোন দিয়ে থাকে। এই হোম লোন বা গৃহ লোন আপনার স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে সাহাজ্য করবে।
গৃহ লোন বা হোম লোন হলো বাড়ি তৈরি করার লোন। আমাদের বাড়ি তৈরির জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। এই সময়ে গৃহ লোন না হোম লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করতে পারবেন। আপনি তখন কিস্তির মাধ্যমে ব্যাংকে লোনের টাকা সুদ সহ পরিশোধ করে দিবেন।
গৃহ লোন বা হোম লোন নেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়জন হবে। সোনালী ব্যাংক গৃহ বা হোম লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো-
সোনালী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধা লোন পদ্ধতি হলো আপনি যদি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আর্থিক সমস্যার জন্য যে লোন দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের জন্য যে ত্যাগ দিয়েছেন, তাদের সেই আত্যাগ আমরা কখনো শোধ করতে পারনো না। এই মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাড়িয়েছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা লোন পদ্ধতি চালু করেছে।
সোনালী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর পদ্ধতি হলো আপনি যে লোন নিয়েছেন, তার কত শতাংশ সুদ সহ কত টাকা হয় এবং মাসে বা বছরে কত টাকা কিস্তি আপনাকে দেওয়া লাগবে। লোন যখন আপনি নিয়েছেন লোনের টাকা তো সুদ সহ আপনাকেই পরিশোধ করতে হবে। এক একটি লোনের জন্য সুদের হার ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনার লোনের সুদের হার দিয়ে, আপনাকে ব্যাংকে মোট কত টাকা দিতে হবে তা নির্ণয় করে আপনার মেয়াদ এর উপর ভাগ করে সেই পরিমান কিস্তি নির্ধারণ করা হয়।
সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে যদি কোনো ভুল তথ্য দিয়ে থাকি তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আসা করি কোনো ভুল তথ্য আপনাদের দিতেছি না। এই পোস্টে বানান বা বাক্যে কোনো ভুল থাকলে আমাকে মাফ করবেন।
সিসি লোন কি?
সিসি লোন হলো বছর বছর লোনের টাকা দিয়ে, আবার সেই লোনের টাকা তোলা যায়। ব্যবসায়িদের জন্য এই লোনের অত্যান্ত প্রয়োজন হয়। সিসি লোনটি আপনাকে প্রতি বছরে সুদ সহ ব্যাংকো টাকা দিয়ে দিতে হবে। আাবার তার পর দিন সেই লোনের টাকা তুলতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক সিসি লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সোনালী ব্যাংক থেকে সিসি লোন নিতে আপনার ব্যবসার কিছু প্রয়োজনীয় কগজপত্র ব্যাংকে দিতে হবে। সোনালী ব্যাংক সিসি লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো-
- সোনালী ব্যাংক সিসি লোনের আবেদন ফর্ম ভালো করে পূরণ করে ব্যাংকে দিতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) ব্যাংকে দিতে হবে।
- সোনালি ব্যাংকে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি চলতি একাউন্ট ব্যাংকে দিতে হবে।
- আপনার যদি ঔষধ এর ব্যবসা হলে ড্রাগ লাইসেন্স ব্যাংকে দিতে হবে।
- আপনার যদি খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হলে বিএসটিআই সার্টিফিকেট ব্যাংকে দিতে হবে।
- আপনার যদি ডিজেল ও এসিড ব্যবসা হলে ডিসির অনুমোদন পত্র ব্যাংকে দিতে হবে।
- এছাড়া ব্যাংক আপনার থেকে আরো কিছু ডুকুমেন্ট চাইতে পারে।
সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন পদ্ধতি
সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন পদ্ধতি |
সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন পদ্ধতি হলো আপনার বেতন এর উপর নির্ভর করে ব্যাংক যে লোন দিয়ে থাকে। আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন, তাহলে ব্যাংক থেকে আপনি আপনার বেতন কত তার উপর নির্ভর করে ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট পরিমানে টাকা লোন দিয়ে থাকে। আমাদের দেশে সকল ব্যাংক চাকরিজীবীদের জন্য স্যালারি লোন দিয়ে থাকে। চাকরিজীবীদের স্যালারি লোন খুবই প্রয়োজন হয়।
স্যালারি লোন কি?
স্যালারি লোন হলো চাকরিজীবী দের জন্য লোন। এই লোনটি চাকরিজীবীদের জন্য অশির্বাদ শরুপ। এই লোনটি নিয়ে চাকরিজীবীরা কোনো কাজ করতে পারে এবং তারপর বেতন থেকে সেই লোন পরিশোধ করতে হয়।
সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি যদি সোনালী ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন নিবেন ভেবছেন, তাহলে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কগজ পত্র প্রয়োজন হবে। সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো-
- আপনার বাংলাদেশি আইডি কার্ড।
- আপনি যেখানে চাকরি করেন তার সম্পূর্ণ তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
- আপনার বয়স ২২ থেকে ৫০ বছর এর মধ্যে হতে হবে।
- আপনাকে একজন বাংলাদেশি হতে হবে।
সোনালী ব্যাংক কার লোন পদ্ধতি
সোনালী ব্যাংক কার লোন পদ্ধতি |
সোনালী ব্যাংক কার লোন পদ্ধতি হলো আপনাকে ব্যাংক কার কিনে দিবে এবং সেই টাকা আপনাকে কিস্তির মাধ্যমে সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে। আপনি গাড়ি কিনবেন, কিন্তুু আপনার কাছে টাকা কম আছে, তাহলে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে কার লোন নিতে পারেন। কার লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে মূল্যবান কোনো কিছু ব্যাংকে দিয়ে রাখতে হবে। আপনার লোন এর টাকা সুদ সহ ব্যাংকে পরিশোধ করে আপনার দেওয়া মূল্যবান জিনিশ টি নিয়ে যেতে হবে।
কার লোন কি?
কার লোন হলো আপনার কার ক্রয় করার জন্য ব্যাংক যে লোন দিয়ে থাকে। আপনার কার কেনার জন্য ব্যাংক এই সময়ে বড় একটা সাহায্য করে থাকে। এই লোন এর টাকা দিয়ে আপনার পছন্দের কার টি ক্রয় করতে পারবেন। আপনি যদি এখন কার কেনার কথা ভাবেন তাহলে, আপনি কার লোন নিতে পারেন।
সোনালী ব্যাংক কার লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি যদি সোনালী ব্যাংক থেকে কার লোন নিতে চান তাহলে, আপনি আপনার কিছু সম্পদ ব্যাংকে রেখে কার লোন নিতে পারবেন। সোনালী ব্যাংক কার লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো-
- আপনাকে এই লোনের জন্য বাংলাদেশি হতে হবে।
- এই লোন এর জন্য আপনার আইডি কার্ডের প্রয়জন হবে।
- আপনি কার লোন নেওয়ার জন্য ব্যাংকে যে সম্পদ রাথতে চান, সেই টি ব্যাংকে নিয়ে যেতে হবে।
- যে পরিমানের অর্থের সম্পদ আপনি ব্যাংকের কাছে জামানত রাখবেন তার ৬০% ব্যাংক আপনাকে লোন দিবে।
সোনালী ব্যাংক গৃহ লোন পদ্ধতি
সোনালী ব্যাংক গৃহ লোন পদ্ধতি |
সোনালী ব্যাংক গৃহ লোন পদ্ধতি হলো ব্যাংক থেকে বাড়ি তৈরি বা কেনার জন্য যে লোন দিয়ে থাকে। আমাদের সকলের স্বপ্ন হলো সুন্দর একটি বাড়ি তৈরি করা। কিন্তু অনেক টাকার জন্য, সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না। এই সকল মানুষদের জন্য সোনালী ব্যাংল হোম লোন বা গৃহ লোন দিয়ে থাকে। এই হোম লোন বা গৃহ লোন আপনার স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে সাহাজ্য করবে।
গৃহ লোন বা হোম লোন কি?
গৃহ লোন বা হোম লোন হলো বাড়ি তৈরি করার লোন। আমাদের বাড়ি তৈরির জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। এই সময়ে গৃহ লোন না হোম লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করতে পারবেন। আপনি তখন কিস্তির মাধ্যমে ব্যাংকে লোনের টাকা সুদ সহ পরিশোধ করে দিবেন।
সোনালী ব্যাংক গৃহ বা হোম লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
গৃহ লোন বা হোম লোন নেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়জন হবে। সোনালী ব্যাংক গৃহ বা হোম লোনের জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো-
- সর্ব প্রথম আপনাকে বাংলাদেশি হতে হবে এবং আপনার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে।
- আপনার কোনো আর্থিক উপার্জনের প্রুফ দিতে হবে।
- আপনার বাড়ির জমির কাগজ ব্যাংকে দিতে হবে।
- এই লোনের জন্য আপনার গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে।
- এছাড়া ব্যাংক আরো কিছু কাগজপত্র নিতে পারে।
সোনালী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধা লোন পদ্ধতি
সোনালী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধা লোন পদ্ধতি |
সোনালী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধা লোন পদ্ধতি হলো আপনি যদি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আর্থিক সমস্যার জন্য যে লোন দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের জন্য যে ত্যাগ দিয়েছেন, তাদের সেই আত্যাগ আমরা কখনো শোধ করতে পারনো না। এই মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাড়িয়েছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংক মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা লোন পদ্ধতি চালু করেছে।
সোনালী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর পদ্ধতি
সোনালী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর পদ্ধতি |
সোনালী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর পদ্ধতি হলো আপনি যে লোন নিয়েছেন, তার কত শতাংশ সুদ সহ কত টাকা হয় এবং মাসে বা বছরে কত টাকা কিস্তি আপনাকে দেওয়া লাগবে। লোন যখন আপনি নিয়েছেন লোনের টাকা তো সুদ সহ আপনাকেই পরিশোধ করতে হবে। এক একটি লোনের জন্য সুদের হার ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনার লোনের সুদের হার দিয়ে, আপনাকে ব্যাংকে মোট কত টাকা দিতে হবে তা নির্ণয় করে আপনার মেয়াদ এর উপর ভাগ করে সেই পরিমান কিস্তি নির্ধারণ করা হয়।
উপসংহারঃ
সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে যদি কোনো ভুল তথ্য দিয়ে থাকি তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আসা করি কোনো ভুল তথ্য আপনাদের দিতেছি না। এই পোস্টে বানান বা বাক্যে কোনো ভুল থাকলে আমাকে মাফ করবেন।